ভালো উপস্থাপক হবার জন্য আপনি নিচের পদক্ষেপগুলো অনুসরন করে দেখতে পারেন-
১.আপনার টপিকের উপর রিসার্চ করুন-
যে টপিক নিয়ে কথা বলবেন সেটা নিয়ে রিসার্চ করুন, স্টাডি করুন, তাহলে এই টপিকের উপর আপনার ভালো দখল থাকবে এবং উপস্থাপনা করার সময় আপনি অনেক আত্মবিশ্বাসী থাকবেন।
২. আপনার প্রধান পয়েন্টগুলো অর্গানাইজ করুন-
আপনার টপিকের উপর পয়েন্ট আকারে বিষয়বস্তু সাজান। পুরো বাক্য অথবা প্যারাগ্রাফ লিখবেন না, প্রয়োজনে পয়েন্টগুলোর পাশে ছোট গুরুত্বপূর্ণ কোন নোট রাখুন।
৩. অনুশীলন করুন-
টপিকের যে পয়েন্টগুলো নোট করেছেন সেগুলোকে বলার জন্য অনুশীলন করুন, এতে আপনি তাৎক্ষনিকভাবে বলার জন্য অভ্যস্ত হতে পারবেন। এছাড়া এর মাধ্যমে আপনার টাইম-শিডিউল সম্পকে ধারনা করে বক্তব্য কতটুকু হওয়া উচিত ঠিক করে নিতে পারবেন। অনুশীলনের সময় প্রয়োজনে পরিবারের সদস্য অথবা বন্ধুদের সামনে উপস্থাপন করুন, তাদের সাহায্য নিন ভুলগুলো খুঁজে নিতে।
৪. মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন-
উপস্থাপনার আগে মানসিক চাপ অনুভব করলে সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করুন, নিজেকে সাহায্য করুন এটা কাটিয়ে উঠতে, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলুন নিজের ইমপ্রেশন দেখুন। উপস্থাপনাটা যেন ভালো হয়, সেটা নিয়ে ভাবুন এবং স্বাভাবিক থাকুন।
৫. নিজেকে উপস্থাপনযোগ্য করুন-
ভালো পোষাক পড়ুন, ভালো মানেই দামী পোষাক হতে হবে এমন কোন কথা নেই, আপনার ব্যক্তিত্বের সাথে যায় এমন কিছু পরিধান করুন। ক্যাজুয়াল পোষাকের বদলে ফরমাল পোষাক পড়ুন আপনাকে প্রফেশনাল মনে হবে। আপনার পোষাক এবং অভিব্যাক্তি আপনার ব্যক্তিত্ব এবং আত্মবিশ্বাসকে জানান দিবে।
৬. আই কন্ট্রাক্ট করুন-
উপস্থাপনার সময় যত বেশী সম্ভব তত বেশী মানুষের সাথে আই কন্ট্রাক্ট করুন এতে আপনি বেশী সংখ্যক মানুষের মনোযোগ আকর্ষন করতে পারবেন।
৭. ক্লিয়ার টোনে কথা বলুন-
অডিয়েন্সের সবাই যেন আপনার কথা শুনতে পায় এবং বুঝতে পারে সেদিকে মনোযোগী থাকুন। মাইক্রোফোন না থাকলে, কিছুটা উচ্চস্বরে কথা বলুন যেন যত বেশী সম্ভব মানুষ আপনাকে শুনতে পায়, কিন্তু আপনার জোরে কথা বলাটা যেন চিৎকার মনে না হয়। খুব দ্রুতলয়ে কথা না বলে প্রতিটা শব্দের উপর জোর দিয়ে একটু ধীরে কথা বলুন যেন সবাই আপনার কথা সহজেই বুঝতে পারে।
৮. অডিয়েন্সের অংশগ্রহণ রাখুন-
সুযোগ থাকলে আপনার টপিকের উপর অডিয়েন্সের কিছু বলার সুযোগ দিন, জানতে চান কে কি ভাবছে, এতে আপনি সবার মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারবেন নতুন করে, অডিয়েন্সও এই সময়টুকু উপভোগ করবে।
৯. প্রশ্নোত্তর পর্ব উপস্থাপনার শেষে রাখুন-
যদি আপনার উপস্থাপনায় কোন প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকে তবে সেটা আপনার উপস্থাপনা শেষ হবার পরে রাখুন। প্রশ্নটি ভালো ভাবে জেনে নিন, প্রয়োজনে প্রশ্নের রিপিট করতে বলুন, এভাবে আপনি জটিল কোন প্রশ্ন হলে উত্তর গোছানোর জন্য বাড়তি কিছুটা সময় পাবেন। যদি কোন প্রশ্নের উত্তর আপনি না জানেন সেক্ষেত্রে সৎ থাকুন, বলুন যে আপনার উত্তরটা জানা নেই। না জেনে এলোমেলো উত্তর দেয়ার চেয়ে স্বীকার করে নেয়াটাই আপনাকে সবার সামনে সৎভাবে উপস্থাপন করবে।
১০. অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিন-
আপনার উপস্থাপনা শেষ হলে, পরবর্তীতে আপনার কলিগ, আপনার স্টাফদের জিজ্ঞেস করতে পারেন আপনার উপস্থাপনার ভালো এবং মন্দ দিক গুলো, এভাবে আপনি বর্তমান সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠে ভবিষ্যতে নিজেকে আরো ভালভাবে উপস্থাপন করার সুযোগ পাবেন।
টিপস-
সতর্কতা-